হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি ব‍্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান : আতঙ্কিত এলাকাবাসী

2nd August 2021 7:24 pm বাঁকুড়া
হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি ব‍্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান : আতঙ্কিত এলাকাবাসী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : আচমকাই ঢুকে পরল গ্রামে একটি বুনো হাতি। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার অন্তর্গত পাঁচাল গ্রামে একটি দোকানে আচমকাই হানা দেয়।
  দোকানে প্রায় ১৫ হাজার টাকা ক্ষতি করে । দোকানে থাকা তিন বস্তা গম খায় এবং দু বস্তা গম নষ্ট করে দেয়, দু বস্তা আলু খেয়ে ফেলে এবং দুটো গুড়ের টিন নষ্ট করে দেই বলে জানা যায় ওই পাঁচাল গ্রামে দোকানদার পম্পা দাস এর কাছ থেকে। এবং তার ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত  লোখেশোল গ্রাম সেই গ্রামে রীতিমতো হানা দেয় ওই বুনো হাতি গ্রামের দুটি দোকানে শাটার ভেঙে ক্ষতি করে দোকানের জিনিস পত্রের। একটি গোলদারি দোকানের  দু বস্তা চাল এবং দু বস্তা গম খেয়ে ফেলে হাতিতে, এবং তার পাশের একটি দোকানে শাটার ভেঙে চাল গম মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দেয় ওই বুনো হাতি টি। উত্তম মাল নামে এক দোকানদারের দাবি তার দোকানে ১৫ হাজার দুশো টাকার ক্ষতি করেছে ওই বুনো হাতি। এর আগে ৩০ তারিখ রাত্রে পাঁচাল এর খাঁগ নামে এক গ্রামে ঢোকার আগেই ছিল একটি চায়ের দোকান রীতিমতো সেই দোকানটি কেউ ভেঙে দেয় ওই বুনো হাতি টি।এখন আতঙ্কে রয়েছে পাঁচাল এবং লোখেসোল গ্রামের মানুষ।  এখন ওই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত এখন তো এই করোনা পরিস্থিতি ভালো চলছে না ব্যবসা তার ওপর এই হাতির হামলা। এখন প্রশাসনের কাছে তারা কিছু সাহায্যের দাবি জানাচ্ছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।